স্বদেশ ডেস্ক;
বাংলাদেশের সিনেমায় আবারও কাজ করতে যাচ্ছেন কলকাতার অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। ফজলুল কবীর তুহিনের পরিচালনায় ‘বিলডাকিনী’তে দেখা যাবে তাকে। এতে পার্নোর বিপরীতে অভিনয় করবেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। এমনটাই জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এইসময়। তবে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন ‘বিলডাকিনী’র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার মনজুরুল ইসলাম মেঘ।
দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমা ‘বিলডাকিনী’। ইতিপূর্বে অনুদানে নির্মাণাধীন সিনেমার বির্তকে প্রযোজকের অসৎদাচরণের জন্য সরকার মনোনিত ব্যক্তির মাধ্যমে সিনেমা নির্মাণ সম্পূর্ণ করার নজির থাকলেও, অন্যায়ভাবে অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমার পরিচালক পরিবর্তনের নজির নেই। এই সিনেমার বেলায় তাই হয়েছে। সিনেমার চিত্রনাট্যকার আমি, আমার অনুমতি ছাড়া এই চিত্রনাট্যে আইনত সিনেমা বানানো যাবে না। চিত্রনাট্যের কপিরাইট আমার নামে, আমি কাউকেই মৌখিক বা লিখিত কপিরাইট দেইনি। কথিত প্রযোজক আব্দুল মমিন খান মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন, তিনি আমার থেকে কপিরাইট নিয়েছেন, কথাটি মিথ্যা ও জালিয়াতি।’
মনজুরুল ইসলাম মেঘ আরও বলেন, ‘এর মধ্যে কথিত প্রযোজক আমার গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর সেখানে পরিচালক হিসেবে থাকবেন ফজলুল কবীর তুহিন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে বিলডাকিনীর পরিচালক হিসেবে আমার নাম নিবন্ধন করা এবং সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত গেজেটেও আমার নাম আছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অনুদান নীতিমালা অনুযায়ী- অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমার পরিচালকের নাম পরিবর্ত করা যায় না (কলাকুশলী পরিবর্তন করা যায়) এবং নির্বাচিত চিত্রনাট্য ছাড়াও সিনেমা নির্মাণ করা যায় না। অনুদানের নির্বাচিত চিত্রনাট্য আমার রচিত এবং আমার নামে কপিরাইট করা। আমার সঙ্গে অনিয়ম করে তারা কীভাবে সিনেমাটি নির্মাণ করবেন? প্রয়োজনে আমি আইনের আশ্রয় নেব।’
সিনেমার অভিনেতা ও অভিনেত্রীর প্রসঙ্গে এই নির্মাতা আরও বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখলাম, সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রে কলকাতার অভিনেত্রী পার্নো মিত্র ও মোশাররফ করিম অভিনয় করবেন। কিন্তু অনুদান আহ্বানের সময় সম্ভাব্য কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম মন্ত্রণালয়ে জমাও দেওয়া আছে। সেখানে ভারতীয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্রর নাম নেই। এমন কি বাংলাদেশর অভিনেতা মোশাররফ করিমের নামও লেখা হয়নি। তবে সম্ভাব্য অভিনেতা তালিকায় লুৎফর রহমান জর্জের নাম রাখা হয়েছে। আমি ভালো করে জানি, এই সিনেমায় কোন অভিনয়শিল্পীদের মানাবে। বাংলাদেশের সিনেমার উন্নয়নে এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই বাংলাদেশি গুনী শিল্পীদের নেওয়া হবে বিলডাকিনীতে।’
মনজুরুলের অভিযোগের বিষয়ে প্রযোজক আব্দুল মমিন খান বলেন, ‘সম্পর্ক ভালো থাকলে অনেক কিছুই সমাধান হয়ে যায় সহজে। মনজুরুলকে নিয়েই আমরা সিনেমাটা বানাতে চেয়েছি। কিন্তু এর কিছু কিছু সংলাপে বাজে কথা আছে, যা পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে আমাদের মনে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথাও হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। অবশেষে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়। সেখান থেকে এখন যে সিদ্ধান্ত আসবে, আমরা সেভাবেই এগুবো। আর এই সিনেমার জন্য এখনও কোনো অভিনয় শিল্পীকে আমরা চূড়ান্ত করিনি। মৌখিকভাবে কথা হয়েছে মোশাররফ করিম ও কলকাতার পার্নো মিত্রের সঙ্গে। আমরা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’